What is going to happen in the political situation of Bangladesh in 2024-25?

30-07-2024

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

গণভবন, ঢাকা, বাংলাদেশ ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

সর্বপ্রথম আমার প্রণাম গ্রহণ করবেন।

দেশের সাম্প্রতিক সময় নিয়ে পৃথিবীর প্রাচীনতম ও সমৃদ্ধশালী জ্ঞান জ্যোতিষ শাস্ত্রের প্রয়োগ অতীব জরুরী হয়ে পরেছে বলে অনুভব করলাম। যে জ্ঞান অর্জন করেছি, সময় এসেছে আজ আমার মাতৃভূমির কল্যানে তা প্রয়োগের। ২৯ জুলাই গবেষণাটি সমাপ্ত করেছি। কিন্তু লেখাটা কিভাবে আপনার কাছে পাঠাবো তা নিয়ে মন বড়ো বিচলিত হয়ে ছিলো । দেশের জননেত্রীর কাছে তা পৌঁছানোর কোনো উপায় যে জানা নেই, কারণ এ বিদ্যা সবসময় আড়ালে থেকেই চর্চা করেছি বিধায় খুব একটা সরকার মহলের উচ্চ আধিকারিকদের সাথে পরিচয় নেই । আর এ বিদ্যা এতটাই গোপনীয় যে, যার তার হাতে দিয়ে আপনার নিকট পাঠানোর সাহস হয় নি। পরবর্তীতে আপনার PMO website এ গিয়ে মাননীয় মুখ্য সচিব মহোদয়ের মাধ্যমে আপনার কাছে পৌঁছানো সম্ভব মনে হওয়ায়, সাহস করে লেখাটি পাঠাচ্ছি ।জানিনা শেষপর্যন্ত আমার এ লেখা আপনি পর্যন্ত পৌঁছাবে কিনা বা পৌঁছালেও আমাদের মাতৃভূমির কোনো কাজে আসবে কিনা! আপনার সমীপে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে ইতিহাসের প্রাচীনতম বিদ্যা জ্যোতিষ শাস্ত্রের আলোকে দেশের আসন্ন সময়ের কিছু বর্ণনা ব্যাখ্যা করার প্রয়াস করলামঃ

___________________________________________

 (১) বাংলাদেশে চলমান এ আন্দোলনের রেশ ২০২৫ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

 (২) ১৫ জুলাই থেকে এ আন্দোলনের গতি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে এবং ১ অগাস্ট থেকে এটি বেগবান হয়ে ২৯ অগাস্ট পর্যন্ত অত্যন্ত ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। সম্পূর্ণ গুজব ও ধর্মীয় কিছু উন্মাদনায় ভর করে একটি বড়ো দাঙ্গা সংঘটিত হবে।

★১৮ সেপ্টেম্বর ও ২ অক্টোবর এর আশেপাশের দিনগুলোতেও দেশে হঠাৎ নতুন করে ভিন্ন আঙ্গিকের  অরাজকতা তৈরি হতে পারে।★

   (৩) ৫ অগাস্ট থেকে সরকার রাষ্ট্রের নিরাপত্তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব সামরিক বাহিনীর হাতে সোপর্দ করবে এবং সামরিক বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এ আন্দোলন প্রতিহত করতে সক্ষম হবে বলে মনে হয়। এতে রাষ্ট্রের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, অসংখ্য সামরিক সদস্য এবং সাধারণ জনগণ হতাহত হবেন।

 (৪) ১৫ নভেম্বর ২০২৪ এর পর আন্দোলনের গতি অনেকটাই শীতিল ও স্থিমিত হয়ে আসবে।

 (৫) ১৫ অগাস্ট থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া নিজস্ব কিছু যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত ও জনসম্মুখে এসে সরাসরি কিছু দূরদর্শী বক্তব্য  দেশকে খুব দ্রুত সংকটের বাইরে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

 (৬) সরকারের একান্ত অনুগত একটি বড়ো সংখ্যার রাজনৈতিক নেতা/মন্ত্রী, আমলা, কর্মকর্তাদের মধ্যে আন্তঃকোন্দল, বেফাঁস মন্তব্য ও দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ড এবং কিংকর্তব্যবিমুঢ়তা সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে নিয়ে যাবে এবং তারই ফলশ্রুতিতে ২০২৪ সালের শেষ দিক থেকে বেশকিছু মন্ত্রণালয়ে বড়ো রকম রদবদল দেখা যাবে।

 (৭) অগাস্ট এর ২য় সপ্তাহ থেকে হাসপাতাল ও কারাগারে তিল ধারনের জায়গা থাকবে না। এতে দুষ্কৃতকারীদের সাথে অনেক নিরপরাধ মানুষও আক্রান্ত হবেন।

 (৮) দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়, শিক্ষামন্ত্রণালয়ে একাধিক সমস্যা দেখা দেবে ।তাছাড়া প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বাহিনী ও নৌবাহিনীতে বড়ো কোনো বিপর্যয় ও পরিবর্তন আসতে পারে। সামুদ্রিক বন্দর বাণিজ্যে দেশ অনেকটা পিছিয়ে পরবে।

 (৯) এ মুহুর্তে আরেকটি বড়ো চ্যালেঞ্জ আসবে বৈদেশিক দপ্তর গুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গুলো সুসংহত রাখা নিয়ে।মূলত দেশের সমস্যার একটি বড়ো অংশ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক থেকে তৈরি হচ্ছে, এমনটাই জ্যোতিষ শাস্ত্র দেখায়।

(১০) গভীর জ্যোতিষ বিশ্লেষণ করে দেখতে পেলাম, দেশের চলমান এ আন্দোলনের পিছনে রয়েছে একটি মহা ক্ষমতাধর পশ্চিমা দেশের সরাসরি হস্তক্ষেপ। মূলত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ব্যক্তিগত আক্রোশ এবং Self Ego satisfaction এর জন্য তারা এ দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলকে লেলিয়ে দিয়ে যেকোনো ভাবে ক্ষমতায় এনে বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে বদ্ধ পরিকর।

 (১১) তবে এসব ষড়যন্ত্র বানচাল করে সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে অকৃত্রিম সহায়তা করবে বাংলাদেশের পরম মিত্র কোনো একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র এবং সে সহায়তার উপর ভর করে সরকার পুনরায় স্বমহিমায় ক্ষমতা নিজেদের কুক্ষিগত করবে।

 (১২) সবচেয়ে দুঃশ্চিতার বিষয় হলো, বাংলাদেশ সরকার প্রধান তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা ক্রমাগত অবনতির দিকে যাবে। ক্রনিক পেটের সমস্যা, কিডনি ফেইলিউর, ক্রনিক সাইনোসাইটিস, ব্রেইন ও স্পাইনাল সমস্যা, থাইরয়েড, স্পন্ডালাইটিস, গাইনো সমস্যা, হাঁটুর সমস্যা ভয়াবহ দুঃশ্চিতার কারণ হবে।

তাছাড়া জ্যোতিষ শাস্ত্রের বিশ্লেষণে ২০২৬ এর শেষ থেকে ২০২৯ এর সূচনা লগ্নের মাঝেই প্রধানমন্ত্রীর প্রাণ সংশয় দৃশ্যনীয়।

পরিশেষে রাষ্ট্রের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য পরম করুণাময় ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা নিবেদন করে, এখানেই ইতি টানলাম।

_______________________________________

 ইতি

আপনার একান্ত অনুগত

অভয় অমৃত দাস 

জ্যোতিষ অধ্যাপক

বেণারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত।।